নিজস্ব প্রতিবেদক:: গাজীপুর সদর উপজেলার হোতাপাড়া এলাকায় বহুতল একটি ভবন ভাড়া নিয়ে আবাসিক হোটেলের নামে পতিতালয় খোলা হচ্ছে এমন সংবাদে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে স্থানীয় সুশীল সমাজ। তারা এরই মধ্যে জয়দেবপুর থানা,সদর উপজেলা প্রশাসন,গাজীপুর জেলা প্রশাসন সহ গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর গুলোতে স্মারক লিপি প্রদান করেছে। স্থানীয় হাজী রমজান আলী মুন্সি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এলাকার সহস্রাধিক গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে আবাসিক হোটেলের নামে পতিতালয়ের বিরুদ্ধে সভা করেছেন। সভা থেকে যেকোনো মূল্যে সমাজ ধ্বংস করা এমন আবাসিক হোটেল বন্ধে যেকোনো সময় বড় ধরণের আন্দোলনের হুশিয়ারি দেয়া হয়।
আবাসিক হোটেলের নামে পতিতালয় বন্ধে এরই মধ্যে শিক্ষক,সাংবাদিক,আলেম ওলামাদের নিয়ে গাজীপুর সদর উপজেলা অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটিও করা হয়। ৪১ সদস্য বিশিষ্ট গাজীপুর সদর উপজেলা অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মনিপুর মোস্তাফিয়া দাখিল মাদরাসার সুপারেন্টেন একেএম আব্দুর রহমান,সহ-সভাপতি ক্বারী আব্দুস সামাদ,সাধারণ সম্পাদক হাফেজ মাওলানা রহমত উল্লাহ্,সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক ফরিদুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা আছেন।
কমিটির সদস্যরা জানান হোতাপাড়ায় আবাসিক হোটেল খুললে একদিকে যুব সমাজ ধ্বংস হবে অন্যদিকে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হবে।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, হাফেজ মাওলানা আবুল কাশেম,হাফেজ মাওলানা ওলিউল্লাহ্,সাবেক মেম্বার আলফাজ উদ্দিন,হোতাপাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল বাতেন মোল্লা,কোষাধ্যক্ষ ডা. ফজলুল হক,মুফতি সিরাজুল ইসলাম,যুগান্তরের সাংবাদিক জসিম উদ্দিন,যায়যায়দিনের সাংবাদিক আইয়ূব খাঁন সহ সহস্রাধিক মুফতি,আলেম,শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
পরে মসজিদে মহান আল্লার কাছে এর সাথে জড়িতদের হেদায়েতের জন্য দোয়া করা হয়।
ভাওয়ালগড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সালাহ্ উদ্দিন সরকার এই অসামাজিক আবাসিক হোটেল কে ট্রেড লাইসেন্স দেয়া হবে না উল্লেখ করে জনগণকে সাথে নিয়ে এর বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের কথাও জানান।
এবিষয়ে গাজীপুর সদর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও গাজীপুর সদর উপজেলা অসামাজিক কার্যকলাপ প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা মো. আবু বকর সিদ্দিক বলেন, এই মাটি আমাদের মায়ের মতো তাঁকে পবিত্র রাখার দায়িত্ব আমার আপনার সকলের। বাংলাদেশের বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতির সাথে পতিতালয় কোন ভাবেই যায় না। আমার আপনার সন্তান কে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষায় এই নৈতিক যুদ্ধ ও আন্দোলনে সকলের অংশগ্রহণ করা উচিত।
এমন অসামাজিক কাজ বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন এলকার সাধারণ মানুষ।
Leave a Reply